এবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রেমিকার বিয়েতে প্রেমিক দলবেধে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অভিযুক্ত কাউসারসহ তার লোকজন বরপক্ষের গাড়ি ভাঙচুরসহ তাদেরকে মারধর করে কনের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বলাইখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বরপক্ষ ও কনেপক্ষের হামলায় অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে কনের বাবা মহিউদ্দিন হাজী বলেন, ভুলতা ভায়েলা এলাকার কাউসার নামে এক যুবক আমার মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে (১৮) দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কাউসার ভুলতা এলাকায় ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। কাউসারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে সাদিয়াকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
বুধবার দুপুরে আমার বাড়িতে ঘরোয়াভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সাদিয়ার বিয়ের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কাউসার ও তার লোকজন পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে নিয়ে হামলা চালিয়ে সাদিয়াকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজনের বাধায় মেয়েকে নিয়ে যেতে পারেনি।
পরের দিন বিকেল বেলা কাউসার আবার দেশীয় অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এসে বরপক্ষকে হামলা চালায়। বরপক্ষকে বাঁচাতে আমাদের লোকজন এগিয়ে গেলে কাউসার বাহিনীর হামলায় পনির, নিপা আক্তার, বৃষ্টিসহ মোট ৮ জন আহত হন। পরে হামলাকারীরা বরপক্ষের লোকজনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
এ সময় হামলাকারীরা রান্না করা খাবার ফেলে দেয় ও ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমি মেয়ে ও পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউসার বলেন, সাদিয়ার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক আছে। তবে বরযাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনা মিথ্যা। এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।
এদিকে ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়ের পরিবারের লোকজন লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।